সর্বঘট পূর্ন, রহে উমার দয়ায়।।
আগামী কাল মহালয়া। আর মহালয়া মানেই দূর্গাপূজার দিন গোনা। প্রতিবারের ন্যায় এবারও তুফানগঞ্জের অনেক মানুষ কাল সকালে কাশফুল তুলতে ব্রিজের পাড়ে যাবেন। আর এখানেই এবার কাশফুলের ফলন সবচেয়ে বেশী।
উপরের ছবিটি দেখে নিশ্চই বুঝতে পারছেন কি হারে কাশফুল ফুটেছে এখানে। তবে হ্যাঁ। নদীর দুই তিরের কাশফুলের ফলনে কিন্তু বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আপনি যদি ব্রিজ পার করে নদীর ওপারে চলে যান তাহলে কিন্তু আপনার কপালে ভালো কাশফুল নাও জুটতে পারে। বরং আপনাকে কাঁদায় মুখ থুবরে পড়তে হতে পারে।
কর্দমাক্ত রাস্তা |
নদীর ওপারে কাশফুলের ফলন (খুবই কম) |
এখানে চারিদিকে শুধু কাশফুল আর কাশফুল।
শুধু মনে করে বাড়ি থেকে একটা ধারালো ব্লেড সাবধানে নিয়ে যাবেন আর যত খুশি কাশফুল কেটে নিয়ে আসবেন। যদিও কাশফুল বাড়িতে এনে কাশফুলের আশ দিয়ে বাড়িঘর নোংরা করার কোন মানেই হয়না। কিন্তু, তবুও মহালয়ার সকালে নদীর পাড়ে গিয়ে কাশফুল কেটে হাতের মুঠোয় করে রাস্তা দিয়ে আসার মধ্যে এক আলাদা মজাই রয়েছে। কি বলেন?
আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো, কাশফুল কাটতে কাটতে নদীর একেবারে কাছে চলে যাবেন না। সেখানে কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কাঁদা রয়েছে যা দেখে আপনি হয়ত বুঝতে পারবেন না কিন্তু পা রাখলে অনেকখানি নীচে ঢুকে যাবে। আপনার জামা নোংরা হবে, পায়ে কাঁদা লাগবে, এমনকি আপনি নদীতেও পড়ে যেতে পারেন। আমি গত কাল এই লেখার জন্য ফটো তুলতে তুলতে এরকম এক জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। তারপর আমার পায়ের এই অবস্থা হয়।
পায়ে কাঁদা লাগলে আপনি নদীতে ধুয়ে নিতে পারেন। আর নদীতে যেতে ভয় লাগলে আপনি এই ধরণের ছোটখাট জলার সাহায্য নিতে পারেন।
২৮ তারিখ অর্থাৎ গতকাল বেশ রোদ ঝলমলে দিন ছিল। তাই কাশফুলও একদম শুকনো ও ফুরফুরে ছিল।
তরতাজা ও ফুরফুরে কাশফুল |
আমার এই লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, তবে আমায় ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। আর এটা পড়ে আপনার কেমন লাগল তা আপনি নীচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এর সাথে সাথে তুফানগঞ্জ ডট কমের ফেসবুক পেজও লাইক করার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ। আপনার দিন শুভ হোক।
0 comments:
Post a Comment